প্রকাশিত: Fri, Dec 9, 2022 5:27 PM
আপডেট: Fri, May 9, 2025 10:12 AM

বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে জাতিসংঘ

তরিকুল ইসলাম: বিশ^ মানবাধিকার দিবস আজ। বাংলাদেশের মানবাধিকার ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অবাধ সুষ্ঠু অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো। বিশেষ করে ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে সরকার বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হামলা ও প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের কারণে আহত ও নিহতদের উদ্বেগজনক খবরের পর থেকেই বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছে জাতিসংঘ।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো যেন কোনো ধরনের ভয়ভীতি ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভাবে সভা-সমাবেশ করতে পারে সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়ছে। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্রকরে এরই মধ্যেই বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সরকার যেন সব রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশ করতে দেয় সে তাগিদের পাশপাশি সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে ইইউর দেশগুলো। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার নিয়ে সরব রয়েছেন ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকরা। 

বিশ^ মানবাধিকার দিবসের একদিন আগে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সভা-সমাবেশের অধিকারবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ক্লেমেন্ট ভউল এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০২২ সালের জুলাই থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে হামলা ও প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের ফলে মৃত্যু ঘটছে। আমি বাংলাদেশের ঘটনাগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে হবে। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে নিহত ও আহতের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এছাড়া ঢাকায় ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। 

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমেরিকার সরকারও রাস্তায় হোয়াইট হাউজের সামনে বড় জনসভা করতে দিতে রাজি হবে না। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের রাস্তায় সভা করার ক্ষেত্রে দে উইল নট অ্যালাউ। যুক্তরাষ্ট্রেও আপনি কোনও মিটিং করতে পারবেন না, ১০০ জনের বেশি যদি হয় পারমিশন লাগবে। সুতরাং ওদের রুলস আরও কঠিন।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা কোনোভাবেই মার্কিন সরকারের বিবৃতি নয় বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, মার্কিন সরকার কোনো বিবৃতি দেয়নি। সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিএনপি ঘরানার একজন সাংবাদিক- যিনি আগে খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ে কাজ করতেন, তিনিই সেখানে প্রশ্ন করেছেন এবং সেই প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব